এবারে যে কেউ জিততে পারে:-প্যারিস অলিম্পিক গেমস নিয়ে মন্তব্য পিভি সিন্ধুর

শুভব্রত মুখার্জি:- ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তো বটেই ভারতীয় অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসেও অন্যতম বড় তারকা পিভি সিন্ধু। ব্যক্তিগতভাবে এখন পর্যন্ত যে দুইজন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ দুটি অলিম্পিক গেমসে পদক জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তাদের অন্যতম পিভি সিন্ধু।২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক গেমসে রুপো জয়ের পরে তিনি টোকিও অলিম্পিক গেমসেও জেতেন ব্রোঞ্জ। এই বছর প্যারিসে সোনা জয়ের জন্য মুখিয়ে তিনি।তবে এই বছরে তাঁর পারফরম্যান্স আশাপ্রদ নয়। তবে অলিম্পিক গেমসের আগের কয়েকমাসে তিনি ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্যারিস অলিম্পিক গেমসে রওনা দেওয়ার আগে তিনি দ্রাবিড় -পাড়ুকোন ব্যাডমিন্টন অ্যাকাদেমিতে মুখোমুখি হয়েছিলেন হিন্দুস্তান টাইমসের। সেখানেই তাঁর সোজাসাপ্টা বক্তব্য এবারে যে কেউ(মহিলা ব্যাডমিন্টনের খেতাব) জিততে পারে।

আরও পড়ুন-ওপেন করবেন বিরাটই, দলে কুলদীপ! শনিবার গ্রুপ স্টেজের শেষ ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ভারতের সম্ভাব্য দল কেমন?

প্যারিস অলিম্পিক গেমসের আগে জার্মানিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে তিনি প্যারিসে যাবেন। তার আগে গেমস,গেমসে তাঁর পদক জয়ের সম্ভাবনা,ক্যারোলিন মারিনের সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীতা। নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি‌। মারিনের সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন ' আমাদের মধ্যে ম্যাচগুলো কখনোই সহজ হয় না। প্রচন্ড হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় সব ম্যাচেই।আমরা একে অপরকে আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে জ্বালাতন করি(হাসি)।'

আরও পড়ুন-বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর জ্বলে উঠলেন বোল্টরা, উগান্ডার বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে জিতল কিউয়িরা

২৮ বছর বয়সী ভারতীয় শাটলার আরো যোগ করেন ‘ প্রত্যেকেই আমাকে এক কথা বলছে।প্রত্যেকেই বলছে যে এটা তোমার তৃতীয় অলিম্পিক গেমস। আর এটা শুনে আমার ভালো লাগছে।উন্মাদনা হচ্ছে। তবে আমি অত্যধিক চাপ নিতে চাই না। কারণ চাপ নিলে আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে পারব না। কারণ এই বছর আমার মনে হয় যে কেউ (মহিলা ব্যাডমিন্টনের খেতাব) জিততে পারে। এই বছর কেউ সেভাবে ফেভারিট নয়। ২০১৬ সালে যখন আমি প্রথম অলিম্পিক পদক পাই সেই সময়ের পর থেকে এই সময় পর্যন্ত অনেকটাই বদলে গিয়েছে খেলাটা। এখন খেলা অনেক বেশি ডিফেন্সিভ হয়। অনেক ধৈর্য্য রাখতে হয় পয়েন্ট জিততে। ’

আরও পড়ুন-সুপার ৮-এ নামার আগে বড় ধাক্কা আফগানিস্তানের!সুবিধা হল ভারতের… ছিটকে গেলেন মুজিব উর রহমান

নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ আমার আগের অলিম্পিক গেমস দুটি থেকে আমি এটা শিখেছি। আমি শিখেছি ধৈর্য্য রেখে নিজের কাজটা করে যেতে হবে। আবার অ্যাটাক মানে আমি এটা ও বলব না যে কোর্টের যে কোন জায়গা থেকে যখন তখন আমি আক্রমণাত্মক শট খেলে দেব। অ্যাটাক করতে হবে যখন তুমি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে রয়েছ। ম্যাচের গতি তুমি নিয়ন্ত্রণ করছ। তুমি তোমার বিপক্ষকে কোর্টে দৌড় করাচ্ছ। এটা না হলে উল্টে তুমি তোমার বিপক্ষকে সুযোগ দিয়ে দিচ্ছ পয়েন্টটা শেষ করে দেওয়ার। যখন তুমি তোমার নিজের খেলা নিয়ে স্বস্তিতে আছ তখন যেটা তোমার ভালো লাগছে সেইভাবে খেলতে হবে। অনেক সময়ে চাপ বেড়ে যায়।মনে হয় আর সামলাতে পারব না।তবে তখন ধৈর্য্য ধরতে হবে । নাহলে নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হতে পারে।’

2024-06-15T07:56:34Z dg43tfdfdgfd