দিল্লিতে তুঘলকি নিয়মে দেখা হল না মোহনবাগানের খেলা, স্টেডিয়ামের বাইরে বসে অভিনব প্রতিবাদ

মোহনবাগান আইএসএলের শিল্ড জয়ের দৌড়ে রয়েছে। চলতি মরশুমে বেশ সাফল্যই পেয়েছে বাগান। এছাড়া গতবার আইএসএল তো জিতেই ছিল। শুধু না পাওয়ার মধ্যে এখন একটাই ট্রফি বাকি রয়েছে সবুজ মেরুনের ট্রফি ক্যাবিনেটে। তা হল আইএসএলের শিল্ড। যা কয়েক বছর হল শুরু হয়েছে। এই শিল্ড জিতলে পাওয়া যায় এএফসি প্রতিযোগিতায় খেলার ছাড়পত্র। আইএসএলে কাপ চ্যাম্পিয়ন ও সুপার কাপ জিতলেও এএফসির প্রতিযোগিতায় খেলা যায় বটে, কিন্তু বর্তমান ভারতীয় ফুটবলে এই শিল্ড জয়কেই এখন কুলীন হিসেবে দেখা হচ্ছে। শনিবার ছিল মোহনবাগানের পঞ্জাব এফসির বিপক্ষে ম্যাচ। সেই ম্যাচে দিমিত্রি পেত্রাতোসের করা একমাত্র গোলে তিন পয়েন্ট তুলে নেয় সবুজ মেরুন শিবির। সেই জয়ের সুবাদেই শিল্ড জয়ের আশা এখনও জিইয়ে রয়েছে বাগানের। মাঠের ভিতরে ঢোকা হল না বাগান সমর্থকদের।

আরও পড়ুন-IFA-র অনুমোদন পেল জেভিয়ার্স, প্রেসিডেন্সি সহ ১২, আসছে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের টুর্নামেন্ট

লিগ এখন শেষ ল্যাপে চলে এসেছে। কলকাতায় থাকলে তো কোনও খেলা মিস করা যায়না। কলকাতার বাইরে খেলা হলেও চলে যাওয়া যায় কষ্ট করেও টাকার ব্যবস্থা করে। কিন্তু ম্যাচ যদি ক্লোজ ডোরে হয়ে তাহলে কি করা যায়। এর উত্তর মোহনবাগান সমর্থকরাই দিয়ে দিলেন, সঙ্গে কামিন্সের মতো বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলারদেরও বুঝিয়ে দিলেন বাঙালিরা কেন ফুটবলকে আবেগ মনে করে। আর সমর্থকরা কেন মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলকে পুজো করে।

 

দিল্লির জহরলাল স্টেডিয়ামে শনিবার ম্যাচ ছিল বিকেল বেলায়। অর্থাৎ সূর্য তখন মধ্য গগনে না থাকলেও তাপমাত্রা ৩৫-এর কাছে। আর সেই গরমে কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দুরে দলের পাশে দাঁড়ালেন মোহনবাগান সমর্থকরা। নিরাপত্তাজনিত কারণ রঞ্জিত বাজাজ আগেই জানিয়েছিলেন, তাদের দুটি ম্যাচই ক্লোজ ডোরে অনুষ্ঠিত হবে। এমনিতে ফুটবলপ্রেমী বাজাজ , মোহনবাগান সমর্থকদের আইলিগের সময় যথেষ্টই খাতির যত্ন করতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তারও হাত বাঁধা। অগত্যা স্টেডিয়ামের বাইরে বসে মোহনবাগানের খেলা মোবাইলে চালিয়ে ফেললেন সমর্থকরা।

আরও পড়ুন-গড়াপেটা ইস্যুতে বেসামাল IFA, সিদ্ধান্ত ঘেরে ক্ষোভ অন্দরমহলেই

শুধু কলকাতা থেকেই নয়, দিল্লি, পুনের যেসব সমর্থকরা রয়েছেন যারা সচরাচর মোহনবাগানের খেলা সেরাজ্যে দেখতে পেতেন না, তারাও এসেছিলেন। অভিনব উপায় মোহনবাগানের খেলা দেখে ম্যাচ শেষে ফুটবলারদের জন্য গলা ফাটালেন তাঁরা। এভাবেই কলকাতা থেকে ১৫০০ কিমি দুরেও ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করে বুঝিয়ে দিলেন এই শিল্ডের মাহাত্ম ঠিক কতটা।

আরও পড়ুন-স্পনসর পেতে সমস্যা নেই কোনও, ISL-এ উঠে সমর্থকদের আশ্বাস মহমেডানের

পড়শি ক্লাব এখনও আইএসএল জেতেনি, আইলিগের চ্যাপ্টার তো আগেই ক্লোজ হয়েছে। এবার শিল্ড জিততে পারলে আরও বেশি কলার তুলে ঘুরতে পারবেন বাগান সমর্থকরা। আদরের দিমির কাছে তাই ম্যাচের শেষে সকলেরই আবদার, ‘শেষ দুটো ম্যাচ জিতিয়ে দাও। পারলে তুমিই পারবে’।

2024-04-08T01:40:15Z dg43tfdfdgfd