MI VS RCB: পাতে দেওয়ার মত নয় RCB বোলিং! ম্যাচ হারতেই সিরাজদের তুলোধোনা করে বোমা ফাটালেন দু প্লেসিস

Mumbai Indians vs Royal Challengers Bengaluru: হাফডজন ম্যাচ খেলা গিয়েছে। এর মধ্যে হারতে হয়েছে পাঁচটি ম্যাচেই। অফ ফর্মে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর কাছে বৃহস্পতিবার রাতে শোচনীয়ভাবে হার হজম করতে হয়েছে ফাফ দু প্লেসিসের হেভিওয়েট আরসিবিকে।

ওয়াংখেড়েতে ব্যাট হাতে প্রায় দুশোর কাছে তুলে দিলেও আবারও বল হাতে সিরাজ-টপলিরা বেধড়ক পিটুনি সহ্য করেছেন। ঈশান কিষান, সূর্যকুমার যাদবদের ব্যাটিং তান্ডবের সামনে ২৭ বল বাকি থাকতেই ১৯৭ তুলে দিয়েছে মুম্বই। এরপরে আরও একবার আরসিবির বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

ম্যাচের পর দোষারোপের খেলায় মাতলেন ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিস-ও। একজন চাঁচাছোলা ভাষায় বলে দিলেন, “ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে চাই, আমাদের দুশো পার করা উচিত ছিল। বল হাতে আমাদের কোনও অস্ত্রই নেই। তাই ম্যাচ জিততে হলে ব্যাটিংয়েই আমাদের ভরসা।”

আরসিবির সমস্ত বোলারই বৃহস্পতিবার ওভার পিছু ১০-এর বেশি রান দিয়েছেন। রিস টপলি (৩ ওভারে ৩৪), মহম্মদ সিরাজ (৩ ওভারে ৩৭), আকাশ দীপ (৩.৩ ওভারে ৫৫), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১ ওভারে ১৭), বৈশক বিজয়কুমার (৩ ওভারে ৩২), উইল জ্যাকস (২ ওভারে ২৪)।

রাখঢাক না করে দু প্লেসিসের বক্তব্য, “বোলিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে হলে আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। বোলিংয়ে ভেদশক্তির অভাব রয়েছে আমাদের। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বিপক্ষের ২-৩ উইকেট তুলে ফেলা উচিত। পাওয়ার প্লের প্রথম চার ওভার পরেই মনে হয়েছিল আমরা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছি।”

বোলিংয়ের ব্যর্থতা ঢাকতে ব্যাটিংকে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন আরসিবির প্রোটিয়াজ ক্যাপ্টেন। সরাসরি বলে দিয়েছেন, “২১৫-২২০ তুলতে হত স্কোরবোর্ডে। ১৯০ প্লাস রান কোনওভাবেই পর্যাপ্ত নয়। শিশির পড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়।”

সিরাজ-টপলিরা যেখানে রান মেশিন হয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেই পিচেই ৫ উইকেট দখল করেছেন জসপ্রীত বুমরা। দু প্লেসিস বলে দিচ্ছেন, “দুই দলের ও-ই তফাৎ গড়ে দিল। আমরা ওঁদের যথেষ্ট চাপে ফেলে দিয়েছিলাম। ক্রিজে আমিও ছিলাম। তারপর সকলেই দেখল বল হাতে ও কী করল! ওঁকে চাপে ফেলা প্রায় অসম্ভব। ওঁর ভাঁড়ারে সমস্ত অস্ত্র মজুত রয়েছে- স্লোয়ার, বাউন্সার-যাবতীয় কিছু। লাসিথ মালিঙ্গা একসময় টি২০-র সেরা বোলার ছিলেন। সেই জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে বুমরা।”

2024-04-12T05:38:18Z dg43tfdfdgfd